শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
আশরাফুল আলম সরকার,বিশেষ প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে উপজেলা টানা দ্বিতীয়বারের মতো মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন রিতু আক্তার।
মঙ্গলবার (২১ মে) রাত সাড়ে দশটায় দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল আলম উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন তিনি।
দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ এর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিতু আক্তার, আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী। উত্তরবঙ্গের অক্সফোর্ড নামক বিদ্যাপীঠ কারমাইকেলের সবুজ চত্বর থেকে বেড়ে ওঠা ছাত্রলীগের ইতিহাস বিভাগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করা পরিচিত মুখ। দেবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১৯ সালে গ্রাম্য নারীদের প্রতীক কলস মার্কা নিয়ে প্রথমবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে
বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন রিতু আক্তার। নির্বাচিত হওয়ার পরে বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম দেখে বাংলাদেশ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার পান রিতু আক্তার।
জনগণের ভোটে জয় হওয়ার পর থেকেই গরিব-দুঃখী মেহনতী মানুষের পাশে থাকে রিতু আক্তার। দেবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অসহায় রোগীদের সাথে গড়ে তোলেন মধুর সম্পর্ক। খোঁজখবর রাখেন ডাক্তারদের সাথে।
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে যুক্ত রয়েছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিতু আক্তার। মুমূর্ষ রোগীদের রক্তদানের সেবা দেওয়াই তার মুখ্য লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। যুবসমাজ রিতু আক্তারের এমন ভালো কার্যক্রম দেখে আগ্রহী হয়ে যান। তার সাথে কাজ করার জন্য ছুটে আসেন। বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করেন রিতু আক্তার। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভায় উপস্থাপনা করে রিতু আক্তার মধুর কন্ঠে মানুষকে বুঝিয়ে দেন বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক নানা তথ্য। জনগণকে আগ্রহী করেন আওয়ামীলীগে ভোট দেওয়ার জন্য। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরে।
গত ২১ মে ২০২৪ ইং ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিতু আক্তার কলস প্রতীক নিয়ে ৪২ হাজার ১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা: জামিলা খাতুন হাঁস প্রতীক নিয়ে ২৮ হাজার ৮৩১ ভোট পেয়েছেন। মোছা:সেলিনা আক্তার প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে ২৫ হাজার ৪২ ভোট পেয়েছেন। লুৎফুন নাহার ফুটবল প্রতীক নিয়ে ১০ হাজার ৫৩৩ ভোট পেয়েছেন।
দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ এর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এক সাক্ষাৎকারে জানায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের যুগ উপযোগী সারথি হতে চাই। দ্বিতীয়বার জনগণের মহা মূল্যবান ভোটে আমি নির্বাচিত হয়েছি পুনরায় দেবীগঞ্জ উপজেলাবাসীর সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। আমার নির্বাচনী এলাকার নারীদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আওতায় এনে সচেতনতা বৃদ্ধি করা ও সমাজের গরিব, দুস্থ, অসহায়, নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।
উল্লেখ্য, দেবীগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৪৫৫ জন, নারী ভোটার ৯৮ হাজার ৫৩১ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজরা) ভোটার ২ জন। ভোট কাস্টিং ৫৫.৪৫ শতাংশ।